কেন ইউকে উচ্চশিক্ষার সেরা গন্তব্য- শিক্ষার্থীর দৃষ্টিকোণ থেকে !
🔘 স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়: ইউকেতে বিশ্বের প্রাচীনতম , সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩00টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
🔘 সহজতর আবেদন প্রক্রিয়া : ইউকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদনের জন্য কোন ফি দিতে হয় না । ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ (আইইএলটিএস স্কোর) কম দিয়েও আবেদন করা যায় । মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাকশন (MOI) সার্টিফিকেট দিয়েও নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায় ।
🔘 পড়াশোনার খরচ : বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইউকেতে পড়াশোনার খরচ তুলনামুলক কম । মাস্টার্স ডিগ্রী 1 বছরে সম্পূর্ণ করা যায়, অনেক বড় খরচ বাঁচাতে। যুক্তরাজ্যে অধ্যয়ন করলে উচ্চ শিক্ষার মান এবং মূল্য উভয়ই পাওয়া যায়।
🔘 সহজতর ভিসা প্রক্রিয়া : ইউকে উচ্চশিক্ষাই যেতে হলে দেশটির স্টুডেন্ট ভিসা অথবা পূর্বে টায়ার ৪ স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হয় । ভিএফএস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড আবেদন জমা দিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।ইউকেতে স্টাডি ভিসা প্রক্রিয়া করার সাধারণ সময় হচ্ছে কমপক্ষে ৩ কার্যসপ্তাহ।
🔘 পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ : টায়ার ৪ স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধাগুলো হচ্ছে, সেমিস্টার চলাকালে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কর্মঘণ্টা পেয়ে থাকে। তবে ছুটির সময়ে এরকম কোনো বাধ্য-বাধকতা না থাকায় ফুল-টাইম কাজের সুযোগ থাকে।
🔘 স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ : বিশ্ববিদ্যালয় গুলো শিক্ষার্থীদের বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার রেজাল্ট ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতার উপর ২-১০ হাজার পাউন্ড স্কলারশিপ দিয়ে থাকে ।
🔘 স্নাতক/স্নাতকোত্তর শেষে কাজের ভিসা : পড়াশুনা শেষ করে ইউকেতে থাকার জন্য কমপক্ষে ২ ( দুই) বছর পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার অনুমতি দেয়।
🔘 পরিবারসহ আবেদনের সুযোগ : শিক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ হলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গী বা সঙ্গিনী ও সন্তানেরা (নির্ভরশীল) ইউকেতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
ইনটেক সমূহ
জানুয়ারি, মে, এবং সেপ্টেম্বর এই তিনটি সবচেয়ে বড় ইনটেক । এর বাইরেও নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোন সময় ভর্তির আবেদন করা যায় ।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা অ্যাপ্লাই করার জন্য একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
☑️ উপযুক্ত কোর্সে ভর্তি নিশ্চিত করুন ইউকে-ভিত্তিক যেকোনো স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (যেমন বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটি Confirmation of Acceptance for Studies (CAS) পেতে হবে।
☑️ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন আবেদন করতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন: বৈধ পাসপোর্ট, Confirmation of Acceptance for Studies (CAS), একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, ভিসা ফি জমার প্রমাণ, টিউশন ফি প্রদানের প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
☑️ ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করা, টিউবারকুলোসিস (TB) টেস্ট করতে হবে ইউকে সরকার অনুমোদিত কোনো সেন্টারে।
☑️ ফিনান্সিয়াল প্রমাণ দেখানো ইউকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ফিনান্সিয়াল যোগ্যতা দেখাতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ফিনান্সিয়াল সাপোর্টের প্রমাণ (অন্তত ২৮ দিন ধরে টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচের অর্থ থাকতে হবে), মেডিকেল পরীক্ষা রিপোের্ট (টিউবারকুলোসিস টেস্ট) ।
☑️ স্টুডেন্ট ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফি জমা দিন ভিসা ফি জমা দিতে হবে (বর্তমানে £৪৯০)। Immigration Health Surcharge (IHS) প্রদান করতে হবে (প্রায় £1164 পাউন্ড প্রতি বছর) ।
☑️ ভিসা অ্যাপ্লাই করুন UK Visas and Immigration (UKVI) ওয়েবসাইটে গিয়ে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান বা আপলোড করতে হবে।
☑️ বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) দিতে হবে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে।
☑️ ইন্টারভিউ প্রস্তুতি আবেদনকারীর শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ভিসা ইন্টারভিউ হতে পারে।
☑️ ভিসার ফলাফল আবেদন প্রসেসের শেষে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন । ইউকে স্টাডি ভিসা প্রক্রিয়া করতে 3 সপ্তাহ সময় লাগে।
AFTER STUDIES – SETTLEMENT OPTIONS
After five years of legal residence it is possible to apply for permanent residency.